Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০২৪: সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জাতীয় সংকট

 


পটভূমি

২০২৪ সালের জুন মাসে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০% কোটা পুনর্বহাল করে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে, যা দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারের কঠোর দমন-পীড়নের ফলে আন্দোলন আরও তীব্র হয়।


 আন্দোলনের বিস্তার ও সহিংসতা

সরকার আন্দোলন দমন করতে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনী মোতায়েন করে এবং সারা দেশে কারফিউ জারি করে। ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ বন্ধ করে দেশকে কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে নিরাপত্তা বাহিনী ব্লক রেইড চালিয়ে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে।


 শিশুদের ওপর প্রভাব

ইউনিসেফ জানিয়েছে, জুলাই মাসের আন্দোলনে অন্তত ৩২ শিশু নিহত হয়েছে, এবং আরও অনেক শিশু আহত ও আটক হয়েছে। সরকার হাসপাতালগুলোকে মিডিয়ার সঙ্গে তথ্য শেয়ার করতে নিষেধ করে, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করে এবং অনেক আহত ব্যক্তিকে শনাক্ত না করেই দাফন করা হয়।



রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব

এই আন্দোলন ও সরকারের দমন-পীড়ন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক মন্দা, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরে। গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য কোনো কার্যকর চ্যানেল না থাকায় জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।


উপসংহার

২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে। এই আন্দোলন সরকারের দমন-পীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং জনগণের অসন্তোষের প্রতিফলন। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে গণতান্ত্রিক চ্যানেল খুলে দিতে হবে এবং জনগণের মতামতকে সম্মান করতে হবে।

Post a Comment

0 Comments