Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

আমার বাচ্চাদের মোবাইল ফোন দেইনি কখনও : পরীমণি


এক হাতে সন্তান, আরেক হাতে ব্যবসা-সিনেমা-স্টুডিও: পরীমণির মা হওয়ার অনন্য গল্প

ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি শুধুমাত্র তার অভিনয়ের জন্যই নয়, বরং এক হাতে সন্তান পালন এবং অন্য হাতে ব্যবসা, সিনেমা ও স্টুডিও পরিচালনার মাধ্যমে নিজের জীবনের গল্প লিখে যাচ্ছেন। তার জীবনের এই দিকটি অনেকের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।

মা হওয়ার দায়িত্ব এবং পেশাগত দাপুটে যাত্রা

পরীমণি একজন মেধাবী অভিনেত্রী হলেও তার জীবনে মা হওয়ার ভূমিকা সব সময়ই প্রাধান্য পেয়েছে। এক হাতে তার সন্তান রাজ্য-এর যত্ন নেওয়া এবং অন্য হাতে ব্যবসায়িক ও সিনেমা সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে তিনি একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপন করছেন।

পরীমণি নিজেও একবার বলেন, “মা হওয়ার পরে আমার জীবন পুরোপুরি বদলে গেছে। এখন আমি শুধু একজন নায়িকা নই, আমি এক মা, যে তার সন্তানের জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত।”

অভিনয় থেকে ব্যবসা-স্টুডিওর প্রসার

পরীমণির অভিনয় জীবন অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। তবে তার দৃঢ় সংকল্প এবং পেশাগত দায়িত্ববোধ তাকে সব সময় এগিয়ে নিয়ে গেছে। এক সময় শুধুমাত্র অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়লেও এখন তিনি ব্যবসারও সাফল্য অর্জন করেছেন।

সিনেমা নির্মাণ, প্রযোজনার পাশাপাশি তিনি একটি স্টুডিও পরিচালনা করেন, যেখানে নতুন প্রতিভাদের সুযোগ করে দেয়া হয়। তার এই উদ্যোগ বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সন্তানের প্রতি রক্ষণশীলতা

পরীমণি যেমন পেশাগত ক্ষেত্রে দাপুটে, তেমনি ব্যক্তিগত জীবন বিশেষ করে তার সন্তানের ব্যাপারে তিনি খুবই রক্ষণশীল। রাজ্যের নিরাপত্তা, শিক্ষা ও মানসিক বিকাশের প্রতি তিনি অতীব যত্নশীল।

তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কম উপস্থিত থাকেন, বিশেষ করে সন্তানের ছবি বা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে। এটি তার রক্ষণশীলতা ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি গভীর সম্মান প্রকাশ করে।

সময়ের সঠিক ব্যবহার ও তিক্ততা মোকাবেলা

পরীমণি তার কাজে ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও সন্তানের প্রতি সময় বের করতে সক্ষম হন। তার এক বন্ধুর কথায়, “পরীমণি যেকোনো সময় সন্তান রাজ্যের সঙ্গে থাকতে সময় বের করে, সে তার মায়ের দায়িত্ব ভালোভাবেই বুঝে।”

তবে এই ভারসাম্য রক্ষা করা সহজ নয়। এক সময় তার ক্যারিয়ারের জন্যে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। সে সব কিছুকে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছেন।

পরীমণির প্রেরণা

পরীমণির জীবনের এই গল্প যুবসমাজ ও নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, একজন নারী যদি দৃঢ় মনোবল ও পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে, তবে পরিবার ও পেশাগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব।

তার কথায়, “আমি চাই আমার ছেলেকে দেখাতে যে মায়েরাও নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, এবং সেই সঙ্গে সন্তানকে ভালোবাসা দিতে পারে।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

পরীমণি ভবিষ্যতে তার সিনেমা স্টুডিও আরো সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন, যাতে আরও নতুন প্রতিভা সামনে আসে। এছাড়া তার লক্ষ্য পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে আরও সাফল্য অর্জন করা।

একজন সফল মা, অভিনেত্রী ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরীমণি বাংলাদেশের বিনোদন জগতের একজন আদর্শ রূপ হয়ে উঠছেন।


উপসংহার

পরীমণির এক হাতে সন্তান, অন্য হাতে ব্যবসা-সিনেমা-স্টুডিও পরিচালনা করার গল্প কেবল তার জীবনের নয়, বরং বাংলাদেশের নারীদের জন্য এক দৃষ্টান্ত। তার দৃঢ় সংকল্প, মায়ের ভালোবাসা এবং পেশাগত দক্ষতা তাকে বিশেষ করে তোলে।

পরীমণির জীবন প্রমাণ করে, নারী শুধু পরিবার নয়, পেশাগত ক্ষেত্রে থেকেও সফলতা অর্জন করতে পারে এবং তার সন্তানের জন্য আদর্শ হতে পারে। তার এই যাত্রা যুবসমাজের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

Post a Comment

0 Comments