ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে আইন মন্ত্রণালয়ের স্পষ্টকরণ
সম্প্রতি কিছু পত্রিকায় ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার বক্তব্য বিচ্ছিন্ন ও বিভ্রান্তিকরভাবে প্রকাশিত হয়েছে বলে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এই বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক অফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য
আইন মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশন্স অফিসার ড. মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়,
"ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত হয়নি।"
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আইন উপদেষ্টা তার সর্বশেষ বক্তব্যে জানিয়েছিলেন যে, এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল, ছাত্র নেতৃত্ব ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সময়মতো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিত
আইন উপদেষ্টা বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্যে বলেছেন,
"এই ধরনের কমিশন গঠনের কথা ভাবা যেতে পারে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার সম্পন্ন হওয়ার পর এবং সেই সময় পতিত দলটির নেতাদের অনুশোচনা প্রকাশের ভিত্তিতে।"
তিনি আরও বলেন,
"গণহত্যাকারীরা যেই জাতি থেকে বিচ্ছিন্ন ও পরিত্যাজ্য, সেটি প্রতিষ্ঠার জন্যও এই ধরনের কমিশন গঠনের প্রয়োজন হতে পারে।"
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বিষয়টি রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে গভীর ভাবনার বিষয় এবং সময়মতো সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই ধরনের কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল, বিশেষজ্ঞ এবং সামাজিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
উপসংহার
বর্তমানে ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের বিষয়ে সরকারি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেই। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর আশংকা থাকায় আইন মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, এটি একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া যেখানে সকল পক্ষের মতামত নেওয়ার পর যথাযথ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এমন কোনো কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য থাকবে দেশের ঐক্য ও সামাজিক সুস্থতা প্রতিষ্ঠা করা এবং অতীতের গর্হিত ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা।
0 Comments