Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

প্রাথমিক শিক্ষকদের ফেসবুক ব্যবহারের ওপর নজরদারি জোরদার

 


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেসবুক ব্যবহারে নজরদারি জোরদার

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। এই উদ্দেশ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ (পরিমার্জিত সংস্করণ) অনুসরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছে।

বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও সোশ্যাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটির প্রধান তাপস কুমার অধিকারী স্বাক্ষরিত এক অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ নির্ধারণ করে এবং নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ওই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।


সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে নির্দেশিকা কেন জরুরি?

সরকারি কর্মচারীরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে দায়িত্বশীল এবং নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখার জন্য এই নির্দেশিকা মেনে চলবেন। বিশেষ করে শিক্ষকদের ক্ষেত্রে, যাদের আচরণ শিক্ষার্থীদের মানসিক ও নৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে, তাদের অনুপযুক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকা জরুরি।


নির্দেশিকায় কি আছে?

‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ মূলত নির্দেশ করে:

সরকারি কর্মচারীরা সামাজিক মাধ্যমে কর্মসংক্রান্ত তথ্য ও সরকারি গোপনীয়তা রক্ষা করবেন।

অনুচিত, আপত্তিকর বা বিভ্রান্তিকর পোস্ট এড়িয়ে চলবেন।

সরকারি সম্পদ ও সময় অপচয় করবে না।

কর্মক্ষেত্রে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।


প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রত্যাশা

এই নির্দেশনার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আশা করছে শিক্ষক-কর্মচারীরা সামাজিক মাধ্যমকে একটি পেশাগত ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করবেন, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়ক হবে।


শেষ কথা

ডিজিটাল যুগে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে এই ধরনের নির্দেশনা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা শিক্ষক ও কর্মচারীদের কর্মক্ষমতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

Post a Comment

0 Comments