Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

করোনায় আরও দুইজনের মৃত্যু

 


(শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, এছাড়াও একই সময়ে নতুন করে সাতজন করোনা শনাক্ত হয়েছেন—এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  এই নিয়ে এ বছরের শুরু থেকে মোট ২২ জন, এবং মহামারির শুরুর পর থেকে মোট ২৯,৫২১ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশে।

মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নারী এবং একজন পুরুষ, যাদের বয়স ছিল ৩১‑৮০ বছরের মধ্যে। একজন সিলেট এবং অপরজন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দা—এছাড়াও চট্টগ্রামের দায়িত্বরত চিকিৎসা প্রশাসন নিশ্চিত করেছেন, গত রাতে চট্টগ্রামের একজন (নাম স্যালেহা বেগম, বয়স ৪০ বছর) করোনা পজিটিভ প্রমাণিত অবস্থায় মারা গেছেন, যিনি আগে থেকেই হৃদরোগসহ অন্যান্য সমস্যায় ভুগছিলেন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ২৪‑ঘণ্টার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৮১টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে মাত্র ৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে—যার মাধ্যমে positivity rate দাঁড়িয়েছে ৩.৮৭% । দেশে মহামারির শুরু (২০২০ সালের ৮ মার্চ) থেকে আজ পর্যন্ত মোট ২০ লাখ ৫২ হাজার ৮০ জন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫৩৫ জন শনাক্ত হয়েছেন চলতি বছরে, সাধারণত এ সংক্রমণ অবস্থা আস্তে আস্তে অবনতি হ্রাস পাচ্ছে। 

সারাদেশে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, করোনার তৃতীয় বা চতুর্থ তরঙ্গ শুরুর সম্ভাবনা আছে—যেখানে কিছু এলাকায়, যেমন সিলেট ও চট্টগ্রাম, মৃত্যু এবং শনাক্ত দুটোই ঘটেছে। সিলেটে এক, চট্টগ্রামে এক; মোট দুই মৃত্যু—যেসব মূল শহর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করছে।

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সক্রিয় ভূমিকা ও পরামর্শ:

রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু বৃদ্ধির প্রতিকূলতা রোধে জনসাধারণকে ভিড় এড়িয়ে চলা, মাস্ক ব্যবহারে সতর্কতা ও সময়মতো টেস্ট করা, এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে

এছাড়া, চলতি বছরে শনাক্ত ও মৃত্যুর বিবরণ প্রকাশ করে জনজাগরণ বাড়ানো হচ্ছে।


সংক্ষেপ:

🎯 ২৪ ঘণ্টায় নতুন মৃত্যু: ২, নতুন শনাক্ত: ৭ (পরীক্ষা–১৮১টি, শনাক্ত হার ৩.৮৭%)

মোট মৃত্যু: ২৯,৫২১ (২০২০–২০২৫)

এই বছরের মৃত্যু: ২২ জন

এই বছর শনাক্ত: ৫৩৫ জন

মৃত্যুর মধ্যে একজন ৪০ বছর বয়সী মহিলা (চট্টগ্রাম) এবং একজন পুরুষ (সিলেট)

সম্ভাব্য নতুন করোনার ঢেউ চলতে পারে


বিশ্লেষণ ও প্রোফাইল:

সংক্রমণ ও মৃত্যু দুইই আংশিকভাবে রোধযোগ্য হলেও, তারপরও পর্যাপ্ত সতর্কতা না নিলে চরম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বয়স ও সহ-রোগ (comorbidities) মূলত মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়—চট্টগ্রামের ঘটনাটা তাই চিন্তার বিষয়।

শনাক্ত হার যখন ৩.৮৭%, তখন বোঝা যায় নতুন ঢেউ সরাসরি শুরু হয়নি, তবে পরিবহন ও জনসমাগমের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।

সরকারের নজরদারি ও জনসচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ, টিকা প্রয়োগ, মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক।


উপসংহার:
বর্তমানে করোনার ব্যপক খামতি নেই, তবে দুইজন মৃত্যুর ঘটনা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জনগণকে সাবধান থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। টেস্ট‑নেগেটিভ থাকার জন্য অবিলম্বে রোগীরা হাসপাতালে যোগাযোগ করুন বা স্বাস্থ্য ঢাকা; সামাজিক সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এখন সবচেয়ে জরুরি।

Post a Comment

0 Comments