ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর এবার ইসরায়েলের ভেতরেই উঠেছে নতুন দাবি—সেই একই যুদ্ধবিরতি যেন গাজাতেও কার্যকর করা হয়। ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং হামলার পর ইসরায়েলি সমাজে নিরাপত্তা এবং শান্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেক ইসরায়েলি নাগরিক এবং শান্তিপ্রিয় গোষ্ঠী চাইছেন, ইরানের সঙ্গে যেভাবে উত্তেজনা প্রশমিত করে যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত হয়েছে, ঠিক একইভাবে যেন গাজায়ও সামরিক অভিযান বন্ধ করে একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং মানবাধিকার সংস্থা মনে করছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধবিরতি একটি ইতিবাচক বার্তা এবং শান্তি প্রচেষ্টার প্রথম ধাপ হিসেবে দেখা যেতে পারে। যদি ইসরায়েলি সরকার একই উদারতা গাজার প্রতি প্রদর্শন করে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে, তবে তা ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জীবনে নতুন আশা নিয়ে আসবে। বিশেষজ্ঞরা এটাও বলেছেন, গাজার যুদ্ধবিরতি কেবল মানবিক সংকটই কমাবে না, মধ্যপ্রাচ্যে একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়ার সূচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের কিছু রাজনৈতিক নেতাও বলেছেন যে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি গাজার সঙ্গে নতুন আলোচনার দ্বার খুলতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এই প্রক্রিয়ায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উভয়পক্ষের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করা অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
সার্বিকভাবে, ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় জনগণের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। এখন অনেকের প্রত্যাশা, সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব এই পরিস্থিতিকে একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ নেবে, যাতে আগামী দিনগুলোতে যুদ্ধের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে হাঁটা যায়।
0 Comments