বান্দরবানের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র মেঘলা এখন ঈদ উপলক্ষে উপচে পড়া পর্যটকের ভিড়—যা পুরো জেলার পর্যটন খাতকে মোড়াচ্ছে স্বপ্নের মতো অভিজ্ঞতায়।
ভিড়ের বিস্তার
মেঘলা’সহ বান্দরবানের নানা স্পটে ঈদের বিভিন্ন দিনগুলোতে পর্যটকদের ঢল নামে—নীলাচল, চিম্বুক, বৈরাগ্য, দেবতাখুম, নাফাকুম সহ আরও স্পটে বন্ধুরা, পরিবারের যাচ্ছেন পুরোদমে ছুটিতে ।
বিশেষ করে মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে একদিনে প্রায় ২ ৬০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে—বছরজুড়ির প্রথম উল্লেখযোগ্য পর্যটকদের আগমনের সাক্ষী।
অভিজ্ঞতামূলক প্রতিক্রিয়া
“ঝুলন্ত ব্রিজটা অনেক ভালো লেগেছে,”—মোহাম্মাদ জাকারুল ইসলাম ।
চট্টগ্রাম থেকে আগত পর্যটক: “প্রথমবার বান্দরবানে, পাহাড় ও প্রকৃতি অসাধারণ” ।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটকরা মেঘলা ও নীলাচলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ ।
রাজস্ব ও ব্যবসায়িক চাঙ্গা
হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে ১০ জুন পর্যন্ত শতভাগ বুকিং—হোটেল মহলে ফের উদ্দীপনা ফিরে এসেছে ।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের মনে নতুন করে আশার আলো—করোনা-জটিলতার পর প্রথম উল্লেখযোগ্য ঘুরে দাঁড়ানো সময়।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ট্যুরিস্ট পুলিশ দুটি শিফটে মেঘলা, নীলাচল, চিম্বুকসহ স্পটে নিয়মিত তত্ত্বাবধান চালাচ্ছে ।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্রাফিক, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান বৃদ্ধি করা হয় ।
সম্ভাব্য সমস্যাগুলো
জ্যামের সৃষ্টি: মেঘলা যেতে কার ও বাসের দীর্ঘ লাইন—গেট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার যানজটের খবর ।
সহজ পথে ভয়াবহ দূর্ঘটনা: পাহাড়ি পথ ও ঝুলন্ত ব্রিজে সযত্ন না নেওয়া হলে বিপদ আশঙ্কা বাড়ে।
পরিবেশগত চাপ: এত ভিড়ের কারণে আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রণনীতি ও সুপারিশ
করণীয় | উদ্দেশ্য |
---|---|
জ্যাম নিয়ন্ত্রণ | আরও গেট ও নিয়ন্ত্রিত প্রবেশপথ |
পরিবেশ সচেতনতা | পর্যটকদের আবর্জনা ফেলা ও আচরণ নিয়ে সচেতন করা |
নিরাপত্তা পদক্ষেপ | পর্যাপ্ত ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জরুরি সেবা (দাবায়ু, এম্বুলেন্স) |
স্থানীয় উদ্যোগ | হোটেল-রিসোর্ট-ট্যুরিস্ট পুলিশ সমন্বয়ে পরিকল্পনা |
উপসংহার
বান্দরবান—বিশেষত মেঘলা—ঈদের ছুটিতে পুনরায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বছরের বাকি সময় ব্যবসায়ী-পর্যটক কেউই এত উৎসাহিত ছিল না। তবে এই সুখী পরিস্থিতিকে টিকে রাখতে হলে নিরাপত্তা, পরিবেশ ও পরিষেবা উন্নয়নের ভারসাম্য ঠিক রাখতে হবে। তাহলেই এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পর্যটন প্রবাহ দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।
0 Comments