সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, বিকেল ৩:০০ PM–এর দিকে ঢাকার শের-এ-বাংলা নগর থানা কর্তৃক দায়ের একটি মামলায় আবারও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নূরুল হুদা–কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের ঠিক এক ঘণ্টা পর, তিনি ঢাকার মহা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হন, যেখানে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে । তবে বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান, মামলা এবং জিজ্ঞাসাবাদে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি-সংগ্রহ দেখে ১০ দিনের পরিবর্তে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ।
এই মামলাটি (২৪ জন অভিযুক্ত, including সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তিনজন সাবেক CEC) BNP‑র জাতীয় নির্বাহী সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান দায়ের করেছেন, অভিযোগ election rigging–এর । অভিযোগে বলা হচ্ছে – ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোটের পূণর্বিন্যাস, বিরোধীদলের কেন্দ্রীয় বাধা, ভোটারদের চাপ, এবং আধিপত্য-পূর্ণ পদক্ষেপের মাধ্যমে ফলাফল বিকৃত করা হয়েছে, যেখানে নূরুল হুদা “সরকারের একত্রীকরণে” কঠিন ভূমিকা পালন করেছেন ।
হুদার গ্রেফতারের দিন রাতেই তার বাড়ি উত্তরা থেকে পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তারটি সংঘটিত হয়, যেখানে এক mob–এর উপস্থিতি ভিডিওতে ধরা পড়ে, যা পরবর্তীতে ব্যাপক বিতর্ক উসকে দেয় । সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, একটি shoes‑এর মালা তাঁর গলায় পরিয়ে দিচ্ছে নানান মধ্যবিত্ত গ্রাম্য—এই উপলক্ষ্যে সমালোচকদের আচার্যিকভাবে “mob justice” বলে বর্ণনা করে, ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী “বিচার করতে ভয়ভীতি ছড়াচ্ছে” বলে মন্তব্য উত্থাপিত হয় ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে DMP–র Detective Branch, পরে হুদাকে গ্রেফতারির প্রক্রিয়া গ্রহণ করে এবং আদালতের নির্দেশে তার রিমান্ডের কাগজপত্র সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রস্তুত করে । আদালতে পুলিশের জবানবন্দি রেখেছেন Sub‑Inspector Shamsuzzoha Sarkar, যিনি রিমান্ডে তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন ।
হুদার আইনজীবীরা রিমান্ড আদেশ চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “সব ধরণই Bail‑able offence, রিমান্ড অপব্যবহার প্রতিরোধের উপযুক্ত নয়” এবং “নির্বাচন কমিশন কোনও ‘ইলেকশন রিপনের’ দায়িত্বে নেই, High Court–এর রিভিউ পরে ফলাফল বাতিল বা পুনর্নির্ধারিত হয়” । আদালত শুনানি শেষে তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং ব্যালের আবেদন নামঞ্জুর করে দেয় ।
রিমান্ডের সময়, হুদা আদালতে বলেন, ২০১৮ সালের ভোট পরিচালনা করতে ১৫‑১৭ লাখ কর্মী নিযুক্ত ছিল; তাই ঢাকার কেন্দ্র থেকে সারা দেশে নিরীক্ষণ করা সম্ভব নয়; এবং “election result সফলভাবে High Court–এর রিভিউ‑র আওতায় পড়ে” । বিচারক তাকে স্মরণ করে দিয়েছেন, “আপনি আপনার শপথ প্রতিপালনে বিশ্বস্ত না হলে… এটি আদালতের নিরকুশ?” — উত্তর দেন, “যদি নির্বাচনে অসঙ্গতি পাওয়া যায়, High Court সেটি বাতিল করতে পারে; কমিশন তার পরবর্তী পদক্ষেপ করে” ।
এই মামলায় নূরুল হুদার পাশাপাশি আরো ডজনখানেক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে—যেমন সাবেক Home Minister Asaduzzaman Khan Kamal, সাবেক IGP‑রা, সিবিএস, NSI, DGFI‑র শীর্ষ কর্মকর্তাদের। সেই মামলায় হামলা ও হুংকারের ধরন, নির্বাচনী আচরণে সংহতির অভিপ্রেত বা সুশৃঙ্খল চাষের উদ্দেশ্য নিয়েও সন্দেহ উথ্থাপিত হয়েছে।
BNP এই মামলা দায়ের করে আখ্যায়িত করেছে এটি “বর্তমান সরকারের ধর্ষিত ক্ষমতার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রতিকার” এবং “সততার সুরক্ষার আইন-সম্মত প্রয়াস” । কিন্তু a rights activists এবং law experts বলেছেন, “mob–এর উপস্থিতিতে তথ্য সংগ্রহের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ” এবং “হিফাজতের নামে আইনশৃঙ্খলা চরম পর্যায়ে লাঞ্ছিত না হওয়ার জন্য” Government–কে কঠোরভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে ।
পরবর্তীতে, ২৪ জুন রাত থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামগ্রিক রিমান্ড প্রাপ্ত প্রক্রিয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে—যেখানে “ভোট ফিডার ব্যবস্থা”, “লিস্টম্যান ও ইউপি পর্যায়ের আধিপত্য”, এবং “বার্তা পরিপ্রেক্ষিত” বিষয়ে নূরুল হুদাকে বিভাজনমূলক প্রশ্ন করা হচ্ছে ।
এই ঘটনার রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব বহুমাত্রিক: প্রথমত, নির্বাচন কমিশনের স্বাধিকার ও স্বচ্ছতা–এর উপর যে প্রশ্ন উঠেছে, তা বিএনপির অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে এবং মতের স্বাধীনতা ও রাজনীতিতে নির্দলীয়তা নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। দ্বিতীয়ত, mob justice–এর ভিডিও সর্বত্র সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর ফলে, জনগণ মনে করছে—“সংস্কৃতির পরিবর্তে ক্ষমতার দমন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই”। এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন human rights গ্রুপ ও Ain O Salish Kendra জাতীয়ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে ।
তৃতীয়ত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (DMP & DB) জানিয়েছেন—যদি তাদের কেউ বাধাগ্রস্ত বা অভিযোগিত হয়, যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে; একই সাথে এ ঘটনা যথাযথভাবে “বিচারাধীন রিমান্ড” হিসেবেই গণ্য হবে না যদি সিসিটিভি ও রিপোটিত তথ্য বাইরে ফাঁস হয় ।
চতুর্থত, আন্তর্জাতিকভাবে, এই মামলায় গণতন্ত্রে যদি এরূপ হস্তক্ষেপ ঘটে—তবে বাংলাদেশের নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও ভোট-উন্নয়ন চিত্রে ছেদ পড়বে বলে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন ।
রিমান্ডের পরবর্তী দিনগুলিতে তদন্ত অব্যাহত থাকবে এবং ৪ দিনের রিমান্ডে পূর্ণতা না পেলে পুলিশ দ্বিতীয় রিমান্ড আবেদন করবে বা ব্যাল ফেরত দিয়ে তদন্ত চলবে। হুদা–র উত্তরদিশা দৃঢ় থাকলেও, BNP জানিয়েছেন—they will pursue further legal action and call for fair trial under rule of law philosophy ।
এইভাবে, ৪ দিনের রিমান্ড–এর ঘটনা শুধুমাত্র একজন নির্বাচন কমিশনারের ব্যাপার নয়, বরং বাংলাদেশের আইনি, সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং আন্তর্জাতিক জনমত–এ দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে, যেখানে গণতন্ত্রে বিশ্বাস ও trust-building–এর প্রশ্নই এ খবরের প্রবর্তিত চিত্র।
0 Comments