নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ফিরোজায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত তার বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফিরেছেন।
ফিরোজায় প্রত্যাবর্তন
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক দল, পরিবারের সদস্য এবং নিরাপত্তা কর্মীরা।
হাসপাতাল যাত্রার বিবরণ
বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে রওনা হন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে। প্রায় ৭টা ৪৭ মিনিটে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন,
“মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে কিছু রুটিন পরীক্ষার জন্য ম্যাডামকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করার পর বোর্ড পরবর্তী চিকিৎসা পরিকল্পনা গ্রহণ করবে।”
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা
৮০ বছর অতিক্রমকারী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা ও অন্যান্য বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন। ফলে তার নিয়মিত চিকিৎসা এবং মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মেডিকেল বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তার ইকোকার্ডিওগ্রাম, ইসিজি, ব্লাড প্যানেল, ইনফেকশন প্রোফাইলসহ কিছু নিয়মিত টেস্ট করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসা হবে।
দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,
“আমরা সকলের কাছে ম্যাডামের জন্য দোয়া চাচ্ছি। তিনি নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।”
জনগণের উদ্বেগ ও ভালোবাসা
বেগম খালেদা জিয়ার হাসপাতালে যাওয়া-ফেরার খবরে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকে হাসপাতালের বাইরে অবস্থান করে তার জন্য দোয়া করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার সুস্থতা কামনা করে অনেকে পোস্ট দিয়েছেন।
উপসংহার
বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে বাসভবনে অবস্থান করছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। নিয়মিত চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে তাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দেশের রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি হিসেবে তার সুস্থতা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দেশবাসী তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে এবং রাজনৈতিক পরিবেশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রত্যাশা করে।
0 Comments