বর্তমানে, ইরানে নতুন হামলার সম্ভাবনা কম হলেও, পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে স্থিতিশীল নয়। গত ২৩ জুন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তবে, যুদ্ধবিরতির পরও উভয় পক্ষের মধ্যে কিছু বিচ্ছিন্ন হামলা ও পাল্টা হামলা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২৪ জুন ইসরায়েল দাবি করেছে যে ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে, যার ফলে ইসরায়েল তেহরানে নতুন করে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে।
২০২৫ সালের জুন মাসে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র যুদ্ধ চলছে। হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা শান্তিচুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছে। এক পর্যায়ে, দুই পক্ষের মধ্যে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়, যা কিছুটা শিথিলতা আনে। তবে, এটি সম্পূর্ণ নয় এবং দুই দেশের মধ্যে বিবাদ এখনো মুলতুবি।
ইরান-ইসরায়েল বিরোধের মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র এবং অঞ্চলের আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব। ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নিয়মিত আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে, আর ইসরায়েল সেটিকে স্বার্থপরতার আভাস হিসেবে দেখছে। এই কারণে, দুই পক্ষের মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব বেশ শক্তিশালী।
যদিও যুদ্ধবিরতি এখনও কার্যকর রয়েছে, তবে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্লেষকরা সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ পরিস্থিতি যে কোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে।
অতএব, বর্তমানে ইরানে নতুন হামলার সম্ভাবনা কম হলেও, যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিশ্চিত নয় এবং পরিস্থিতি যে কোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে।
0 Comments