গত ২৪ ঘণ্টায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (DGHS) তরফে জানানো হয়েছে যে, দেশে নতুন করে ২১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন । এই সময় বিনিময়ে ৪৪১–৪৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যার থেকে পজিটিভিটির হার নির্ধারিত হয়েছে প্রায় ৪.৭৬ % । যদিও নতুন রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়া সত্ত্বেও, এদিন করোনাভাইরাসে কোনো মৃত্যু ঘটেনি, ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে । ডেটা অনুযায়ী, মোট শনাক্ত রোগীর মধ্যে মৃতদের হার প্রায় ১.৪৪ %, যা এখনও বহাল রয়েছে ।
বর্তমানে বাংলাদেশের মোট শনাক্তিত করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ ৪৯ হাজার, ও মোট মৃতের সংখ্যা ২৯,৪৯৩, যা বিশ্বমাপকেও যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে । যদিও করোনার প্রাদুর্ভাব প্রথম পর্যায়ের তুলনায় এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে, তবু ঝুঁকিপূর্ণ সংক্রমণ রোদের আলোতে জনগণকে এখনও সজাগ থাকতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, পজিটিভিটি হার প্রায় ৪–৫% পরিসরে এখনো রয়ে গেছে এবং এটি নতুন সংক্রমণের ইঙ্গিত বহন করছে। যেমন ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট তখন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৩ জন, আর এর মধ্যে ১৯ জন মারা গেছেন । এটি নির্দেশ করে যে, যদিও দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা কম, তবে মহামারী এখনো সম্পূর্ণভাবে নিরূপিত হয়নি।
এসময়ে সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে জনসচেতনতা বজায় রাখার জন্য একাধিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে:
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: জনসমাগম পরিহার, মাস্ক ব্যবহারে জোর দিন এবং নিয়মিত হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজেশনের অভ্যাস বজায় রাখুন।
টিকা ও বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশেষজ্ঞরা সবাইকে বিশেষ করে ১৮ বছরের উপর ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তদের পুনরায় বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সহায়ক।
পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার ব্যবস্থা: যদি জ্বর, সর্দি বা কাশি দেখা দেয়, দ্রুত পরীক্ষা করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে স্ব‑একান্তে আইসোলেশনে থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ রয়েছে।
স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রস্তুতি: বর্তমানে হাসপাতাল ও আইসিইউ বেডে চাপ অনেকেই অনুভব করছেন না, তবে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ বাড়তে পারে — তাই স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসন আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে প্রয়োজনে অবিলম্বে সক্ষম অভিযান চালানো যায়।
বিশদ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, গত ২৪ ঘণ্টার তথ্য একটি সময়োপযোগী সতর্কবার্তা দেয়: যথাযথ মনোযোগ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, কিন্তু অবহেলার মাধ্যমে সংক্রমণ পুনরায় বাড়তে পারে। সেই দিক চিন্তা করে প্রতিটি নাগরিককে কৃতজ্ঞতা ও সমর্থন দিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখতে হবে।
0 Comments