বর্তমান স্বর্ণের মূল্য (১ মে ২০২৫)
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) কর্তৃক নির্ধারিত সর্বশেষ দামে, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির মূল্য দাঁড়িয়েছে ১,৭৮,০০০ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
মাসিক মূল্য পরিবর্তনের ধারা
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২১ এপ্রিল ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিল ১,৭৭,০০০ টাকা, যা ২২ এপ্রিল কমে দাঁড়ায় ১,৭২,৫৪৬ টাকায়। এরপর ২৮ এপ্রিল আবার বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছায় ১,৭৮,০০০ টাকায়।
আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব পড়েছে। Goldman Sachs পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে $৩,৭০০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বাংলাদেশের দাম
বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির দাম প্রায় ১,৫২,৬৬১ টাকা, যেখানে বাংলাদেশে তা ১,৭৮,০০০ টাকা। এছাড়া, দুবাইয়ে একই মানের স্বর্ণের দাম প্রায় ১,৪৩,০০০ টাকা।
দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া
বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারণে বাজুস মূল ভূমিকা পালন করে। তবে, পুরান ঢাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজারে দাম নির্ধারণে প্রভাবশালী। তাঁতীবাজারের ব্যবসায়ীরা তেজাবি স্বর্ণের দামের ভিত্তিতে স্থানীয় দর নির্ধারণ করেন, যা পরবর্তীতে বাজুস দ্বারা ঘোষণা করা হয়।
বিক্রয় হ্রাস ও বাজারের প্রতিক্রিয়া
স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির ফলে বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে। বাজুসের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান জানান, দাম বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক বছরে বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে।
উপসংহার
২০২৫ সালের মে মাসে বাংলাদেশের স্বর্ণবাজারে রেকর্ডমূল্য দেখা গেছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। দাম বৃদ্ধির ফলে বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে এবং বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতে স্বর্ণের দাম ও বাজারের স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক বাজারের গতিপ্রকৃতি ও স্থানীয় অর্থনৈতিক নীতিমালার উপর
0 Comments