সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক দায়েরকৃত পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি বিশেষ আদালত। এই মামলাগুলোতে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার পটভূমি
প্রথম মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এই মামলায় তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আরও ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও জালিয়াতি করেছেন। এই মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালতের কার্যক্রম
২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিল ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের দেওয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ
মামলাগুলোতে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন
-
শেখ হাসিনা (সাবেক প্রধানমন্ত্রী)
-
সজীব ওয়াজেদ জয় (প্রধানমন্ত্রীর ছেলে)শেখ রেহানা (প্রধানমন্ত্রীর বোন)
-
টিউলিপ সিদ্দিক (ব্রিটিশ এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নি)
-
জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারারাজউকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা
এই মামলাগুলোতে মোট ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তদন্ত ও অভিযোগ
দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, আসামিরা পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। তদন্ত শেষে দুদক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে।
পরবর্তী কার্যক্রম
আদালত আগামী ১২ মে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন। এই তারিখে পুলিশকে আসামিদের গ্রেপ্তারের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
উপসংহার
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই মামলাগুলোর পরবর্তী কার্যক্রম দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
0 Comments