Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

হুথি বিদ্রোহীদের মিসাইল হামলা: ২০২৫ সালের মে মাসে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে আঘাত এবং এর প্রভাব

 

 

হামলার পটভূমি

২০২৫ সালের ৪ মে, ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নে একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালায়। এই হামলায় আটজন ইসরায়েলি নাগরিক আহত হন, যার মধ্যে দুইজন আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আহত হন। এই হামলা ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, কারণ এটি প্রথমবারের মতো বিমানবন্দরের সীমানার মধ্যে আঘাত হানে।


 হামলার বিবরণ

হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করে যে তারা একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার মধ্যে অ্যারো এবং THAAD অন্তর্ভুক্ত, মিসাইলটি আটকাতে ব্যর্থ হয়। এই হামলার ফলে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।


আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও বিমান চলাচল

হামলার পরপরই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স, যেমন লুফথানসা, এয়ার ইন্ডিয়া, উইজ এয়ার, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, এয়ার ফ্রান্স এবং ডেল্টা, ইসরায়েলে তাদের ফ্লাইট স্থগিত করে। তবে, ইসরায়েলি এয়ারলাইন্স এল আল, আর্কিয়া এবং ইসরায়ার তাদের ফ্লাইট চালিয়ে যায় এবং আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য উদ্ধার ফ্লাইট পরিচালনা করে।


 ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা হুথি বিদ্রোহীদের এবং তাদের ইরানি সমর্থকদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর ইঙ্গিত দেন।



আঞ্চলিক প্রভাব ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এবং ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে হুথি বিদ্রোহীদের সক্রিয় ভূমিকা তুলে ধরে। হুথিরা এই হামলাকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হিসেবে উপস্থাপন করে।


 উপসংহার

হুথি বিদ্রোহীদের এই মিসাইল হামলা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘর্ষের জটিলতা বৃদ্ধি করে। এই হামলা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং মানবিক পরিস্থিতির উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।

Post a Comment

0 Comments