সংঘর্ষের সর্বশেষ অবস্থা
৫ মে ২০২৫ তারিখে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটিতে আল-কারামা এলাকার আল-রামুজ টাওয়ারে বিমান হামলা চালায়, এতে অন্তত ১৫ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হন। এই হামলা গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং মানবিক সংকট আরও গভীরতর হয়েছে ।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় সামরিক অভিযান আরও তীব্র করার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজার আরও অঞ্চল দখল এবং হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
মানবিক সংকট ও খাদ্য ঘাটতি
ইসরায়েলের অবরোধের ফলে গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরি সামগ্রীর ঘাটতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা গাজায় মানবিক পরিস্থিতিকে "চরম সংকটপূর্ণ" বলে উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে অপুষ্টি ও রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে ।
ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, যেখানে তারা ত্রাণ বিতরণ নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তবে জাতিসংঘ এই পরিকল্পনাকে মানবিক নীতিমালার পরিপন্থী বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ।
হামাসের প্রতিক্রিয়া ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি
গাজায় খাদ্য সংকটের মধ্যে লুটপাটের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় হামাস লুটেরাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে এই পদক্ষেপগুলি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে ।
এছাড়াও, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। নাগরিকরা হামাসের শাসন এবং ইসরায়েলের অবরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এই বিক্ষোভগুলি গাজার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে ।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা
ইসরায়েলের গাজা অভিযানের তীব্রতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে এই সিদ্ধান্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে। ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, যেখানে তারা ত্রাণ বিতরণ নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তবে জাতিসংঘ এই পরিকল্পনাকে মানবিক নীতিমালার পরিপন্থী বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ।
হতাহতের পরিসংখ্যান
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৫ মে ২০২৫ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২,৪৯৫ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০% নারী ও শিশু ।
উপসংহার
৫ মে ২০২৫ তারিখে ইসরায়েল-গাজা সংঘর্ষের পরিস্থিতি আরও জটিল ও সংকটপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইসরায়েলের সামরিক অভিযান, গাজার মানবিক সংকট, হামাসের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এই সংঘর্ষকে একটি বহুমাত্রিক সংকটে পরিণত করেছে। এই পরিস্থিতিতে একটি টেকসই সমাধান খুঁজে পাওয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
0 Comments