ঘটনা সংক্ষেপ
২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। সেদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল-এর নির্বাহী সম্পাদক অমল সরকারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, তিনি স্ত্রীসহ পাঁচ ঘণ্টা একটি বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন।
আশ্রয় ও লুকিয়ে থাকা
ওবায়দুল কাদের জানান, নিজের বাসায় হামলার আশঙ্কায় তিনি পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানেও বিক্ষোভকারীরা হামলা চালায়। ভাঙচুর শুরু হলে তিনি ও তার স্ত্রী বাথরুমে লুকিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, বারবার বলছিলেন আমি অসুস্থ, যাতে করে তাদের প্রবেশ ঠেকানো যায়।”
বিক্ষোভকারীদের আচরণ
বিক্ষোভকারীরা বাথরুমে ঢুকে পড়ে এবং ওবায়দুল কাদেরকে দেখে আচরণ পাল্টে ফেলে। তারা বলেন, “নেত্রী চলে গেলেন, আপনি যাননি কেন?” এরপর তারা তাকে একটি মাস্ক ও ব্যাজ পরিয়ে একটি ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, “ভাবতেও পারিনি যে যারা কয়েক মিনিট আগে বাথরুমে জোর করে ঢুকেছিল, তারাই আমাদের এভাবে রক্ষা করবে।”
🇧🇩 দেশে অবস্থান ও পালিয়ে যাওয়া
সাক্ষাৎকারে ওবায়দুল কাদের জানান, ৫ আগস্টের পর তিনি তিন মাস বাংলাদেশেই ছিলেন। তিনি শ্রমিক ও কর্মচারীদের অসন্তোষ কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কিন্তু একে একে সবাই গ্রেফতার হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি নিরাপত্তার কারণে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ভাইরাল সাক্ষাৎকার
ওবায়দুল কাদেরের এই সাক্ষাৎকারটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, “আমি খুবই ভাগ্যবান, সেদিন আমার বেঁচে থাকার কথা ছিল না। মৃত্যু থেকে অনেক কাছে ছিলাম।”
আরও পড়ুন
সাক্ষাৎকারের ভিডিও
কালের কণ্ঠের প্রতিবেদন
ঢাকা মেইলের প্রতিবেদন
উপসংহার:
ওবায়দুল কাদেরের এই স্বীকারোক্তি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, দেশের সংকটময় মুহূর্তে নেতাদের ভূমিকা কী হওয়া উচিত।
0 Comments