গাজার হেলথ মিনিস্ট্রির তথ্যানুযায়ী শুক্রবার (২০ জুন ২০২৫) ইসরায়েলী বাহিনীর গুলিতে আরও ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ঘর-বাড়িতে বোমাবর্ষণ এবং সাহায্য নিতে আসা সাধারণ মানুষ রয়েছে—বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ গাজার এমন কয়েকটি এলাকায়, যেখানে মানবিক সহায়তা নিতে উপস্থিত ছিল মানুষ।
পরিস্থিতির সারসংক্ষেপ:
কেন্দ্রীয় গাজা অঞ্চলে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়; এর মধ্যে ২৩ জন ছিল সাহায্য নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
গাজা সিটিতে ২৩ জন, এবং দক্ষিণ গাজায় ২২ জন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১১ জনই সাহায্যপ্রার্থী।
গৃহবোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার এখনও অব্যাহত আছে, যার ফলে এমন বিদেশী এবং সাধারণ মানুষদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
মানবিক প্রতিক্রিয়া:
UNICEF সতর্ক করেছে—বর্তমানে গাজার পানীয় জলের অবস্থা মারাত্মক, মাত্র ৪০ % জলের সুবিধা কার্যকর, যা মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্থানীয় হাসপাতালগুলো আরও জানাচ্ছে যে খাবার এবং সহায়তা নিতে গিয়ে হতাহতের এই রাশ এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
ইতিমধ্যেই মিত্র দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস সংগঠনগুলো এই ঘটনাকে “ভয়াবহ” এবং “অনাপত্তিকর” হিসেবে নিন্দা করেছে, ক্ষতিগ্রস্ত নিরীহ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
তাছাড়া, গাজার এই পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে মানবিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
এই সাম্প্রতিক ঘটনার মাধ্যমে গাজার অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার—সুরক্ষা, খাদ্য, পানি—সবই আজ ভয়াবহভাবে ব্যাহত। নিহতদের জন্য দুঃখ ও শোক; আর বেঁচে থাকা মানুষদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার প্রার্থনা।
0 Comments