নওগাঁর ধামইরহাট থানায় থাকা একটি সিকিউর ট্রাঙ্ক ভেঙে আইনগতভাবে স্বরক্ষিত থাকা এইচএসসি‑২০২৫ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বের হয়ে গেছে—এ ঘটনায় শিক্ষা ও আইসিটি বিভাগ থেকে একটি তদন্ত কমিটি এবং জেলা প্রশাসনের আরও একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার সারমর্ম:
ঘটনার সময় ও স্থান: গত ১৭ জুন এক ট্রাঙ্কেHistory—ইতিহাস দ্বিতীয় পত্রের ৫০ সেট প্রশ্নপত্রসহ ট্রাঙ্কটি ধামইরহাট থানায় হাজতে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার (২০ জুন) সকালে ট্র্যাংকের তালা ভেঙে তল্লাশি করা হয়, যার ফলে প্রশ্নপত্র বের হয় এবং কিছু চেরা অবস্থায় পাচার পাওয়া যায়।
কিছু প্রশ্নপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে—যদিও এখনও জানা যায়নি এগুলো বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে কিনা।
জরুরি পদক্ষেপ: ঘটনায় দুইজন পুলিশ—এক সাব ইন্সপেক্টর এবং এক কনস্টেবল—কে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নওগাঁ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তদন্তকার্যক্রম:
জেলা প্রশাসনের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি সদিয়া আফরিন (এডিসি, শিক্ষা ও আইসিটি) নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি গঠিত হয়েছে।
নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার সাফিউল সরওয়ার নিশ্চিত করেছেন, সারাংশে সমস্ত প্রশ্নপত্র উদ্ধার করা হয়েছে, তবে এই ঘটনায় যারা জড়িত—তাদের চিহ্নিত করতে জিজ্ঞাসাবাদ ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে এবং শীঘ্রই প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য পাঠানো হবে।
ভবিষ্যত করণীয়:
তদন্তে প্রমাণিত হলে প্রশ্নপত্র চুরি বা ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামী ২৬ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষার আগের এইধরনের ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে—এবার পরীক্ষার নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সংক্ষেপে:
প্রশ্নপত্রের সংরক্ষিত ট্রাঙ্ক ভেঙে কিছু প্রশ্ন বের করা হয়েছে, কিছু ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, তবে এখনও বিষয়টি পুরোপুরি ফাঁস হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
পুলিশ সদস্যদের অবহেলার কারণে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার এবং দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিরাও তদন্তে অংশ নিচ্ছেন।
তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একটি গুরুতর নিরাপত্তা ভঙ্গ—যা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বিশ্বস্ততা রক্ষায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহনের প্রয়োজন রয়েছে।
.jpg)
.jfif)
0 Comments