কুমিল্লার মুরাদনগরে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসা এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূলহোতা ফজর আলীসহ মোট পাঁচজনকে। এই ঘটনা এলাকায় চরম উত্তেজনা ও উদ্বেগ তৈরি করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা নারী কিছুদিন আগে সৌদি প্রবাসী স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় একদল যুবক পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালিয়ে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তদের মধ্যে প্রধান ব্যক্তি হিসেবে ফজর আলী চিহ্নিত হন, যিনি ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যান।
পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে ফজর আলীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সম্ভবত গ্রেপ্তারের সময় কোনোভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির কারণে। তাকে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে বাকি চারজন অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং ঘটনার সঙ্গে তাদের কার কী ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত এবং এতে একাধিক ব্যক্তি জড়িত। প্রাথমিক তদন্তে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে, যা তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করা হয়নি।
ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন এবং তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং সেবা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ বলেছে, নির্যাতিতার নিরাপত্তা এবং আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
স্থানীয় জনগণ ও মানবাধিকারকর্মীরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনাটি সমাজে নারীর নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছে। দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির মাধ্যমে এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ দমন করা না গেলে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
0 Comments