Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

রামোজি ফিল্ম সিটি ভৌতিক এলাকা, রাতে ঘুম হয়নি : কাজল


 বিভিন্ন মিডিয়ায় “রামোজি ফিল্ম সিটি”‑কে ‘বিশ্বের অন্যতম ভৌতিক এলাকা’ হিসেবে উল্লেখ করে মন্তব্য করায় সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনা বুদ্ধিজীবী অভিনেত্রী কাজল‑এর বিরুদ্ধে হলো। ২৩ জুন ‘মা’ সিনেমার প্রচারণায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সে জায়গায় রাতেই আমার ঘুম হয় না” এবং “নেগেটিভ ভাইবস” পেয়েছি । এই মন্তব্য এমন সময় করা হয় যখন তিনি ‘মা’ নামে একটি মিথোলজিকাল হরর ছবি প্রচারে ভাষণ দিচ্ছিলেন—এখানে কাজলের অভিজ্ঞতা যেন বাস্তবতার সঙ্গে একরকম খাপ খায়, যা মিডিয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে

তবে এই মন্তব্য পরিণত হয় তীব্র প্রতিক্রিয়ায়। হায়দ্রাবাদ ও দক্ষিণ ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম/নাটকের ইতিহাসের ভক্তরা আপত্তি তুলেন কাজলের মন্তব্যে, কারণ রামোজি ফিল্ম সিটি একটি জনপ্রিয় পিকনিক ও ফিল্মিং স্পট হিসেবে বিখ্যাত। সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করেন এটি “পরিবার ও শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ”

 পটভূমি ও ভূত‑কাহিনি

রামোজি ফিল্ম সিটি ১৯৯১ সালে নির্মিত, এটি বিশ্বের বৃহত্তম ফিল্ম স্টুডিও, যার আয়তন প্রায় ২০০০ একর

এখানে ভূত-তদন্তের জন্য নানা যাত্রা/ধারণা প্রচলিত – যেমন নীজামের সৈন্যদের আত্মার কাহিনি, হঠাৎ আলো পড়া, চিৎকার, অবাঞ্ছিত দুষ্টুমি বা পুরাতন সেটে অদ্ভুত নিয়ন্ত্রণহীন ঘটনার নানা বর্ণনা পাওয়া যায়

মাঝরাতে গিয়ে এই মনোযোগকর অহংকারে কাজলের মন্তব্য যেন জনমনে ঐ কাহিনিগুলোর পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছে।

প্রতিক্রিয়া ও কাজলের ইউ‑টার্ন

জনমনে কাজলের মন্তব্য উপেক্ষিত হলো না। স্থানীয় দর্শকদের ক্ষোভ লক্ষ করা গেলো, কারণ এখানে নিয়মিত চিত্রনাট্য, পারিবারিক উৎসব ও ছাত্রگردের ভিড় ঘটে

তাই কাজল পরবর্তীতে স্পষ্টভাবে বললেন, “রামোজি ফিল্ম সিটি পরিবার ও শিশুদের জন্য পুরোপুরি নিরাপদ” — তার উল্টোদিকে তিনি এ মন্তব্যের ভুল বুঝেছেন এবং শান্তিদায়ী বার্তা তুলে ধরেছেন

 বিশ্লেষক ও স্থানীয় দৃষ্টিভঙ্গি

এই ঘটনাটি সুচিত করে—সেলিব্রিটি অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত মন্তব্য কখনো কখনো জনগণের ভাবমূর্তিতে বড় প্রভাব ফেলে।

ভূত ও অতিপ্রাকৃত বিষয়ে ব্যক্তিগত মত প্রকাশের ক্ষেত্রে, প্রতিশ্রুত বেড়িয়ে যেতে পারে—বিশেষ করে যারা বিশ্বাস করেন সেইসব কাহিনির প্রতি।

আর পরবর্তীতে যেসব মন্তব্য বিরোধীর প্রতিক্রিয়া ডেকে আনে তা থেকে বোঝা যায়—জনমতের প্রতি মর্যাদা ও সংবেদনশীলতা বজায় রাখাটিও জরুরি।


 উপসংহার

কাজলের অভিজ্ঞতা—“নেগেটিভ ভাইবস পেয়ে রাতে ঘুম হয়নি” বলার মুহূর্তটি প্রথমে আলোচনায় এনে বিষয়টিকে এক অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কের মাঝে ঠেলে দেয়। তবে পরবর্তীতে তার ইউ-টার্ন এটিকে শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি এনে দেয়। সে মাত্র একটি অভিজ্ঞতা—তা তার সত্য হলেও, ভিজিটিং পাবলিক ও লক্ষ লক্ষ ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে রামোজি ফিল্ম সিটি এখনও নিরাপদ ও আনন্দময় একটি গন্তব্য। সেলিব্রিটিদের মন্তব্যের প্রভাব এবং তাদের প্রতিক্রিয়ার সামাজিক গুরুত্ব আবারও এক প্রেক্ষা দেখিয়েছে।

Post a Comment

0 Comments