Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

বাবার ধর্মই পালন করেন শাহরুখের ছেলে আরিয়ান খান

 


বলিউডের কিং খান শাহরুখ খান ও তার স্ত্রী গৌরী খান-এর বড় ছেলে আরিয়ান খান নিজের ব্যক্তিগত ধর্ম হিসাবে মূলত মুসলিমত্ব পালন করেন—যা তিনি প্রকাশ্যভাবেই মেনে নিয়েছেন এবং নিজেকে “I am a Muslim” বলে চিহ্নিত করেছেন

এই ধর্মিক পরিচয়ের পেছনে রয়েছে পরিবারের মূল্যবোধ ও অভ্যস্ততা। শাহরুখ ও গৌরীর মিশ্র ধর্মীয় পটভূমিতে, তারা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রেখে বড় হয়েছেন। গৌরীর এক সাক্ষাৎকারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন: “আমরা সমতা বজায় রাখি... আরিয়ান আসলে শাহরুখকে মেনে চলে, তাই ও বাবার ধর্ম অনুসরণ করে” । তিনি আরও বলেছেন, আরিয়ান নিজেকে মুসলিম হিসেবে গণ্য করেন, এবং রাতে প্রথমে মা’র মতো—তারপর বাবার মতো দোয়া করে ঘুমান

আরিয়ানের এই সিদ্ধান্তে তার দাম্পত্য জীবনেও ধর্মীয় সমন্বয়ের মূল্য ফুটে ওঠে। গৌরী বারবার বলেছেন, এপ্রিল একটি মন্তব্যে—"আমি শাহরুখের ধর্মকে সম্মান করি, তবে এটা মানে আমি ধর্ম পরিবর্তন করব না"—এমনকি শ্বাস-সৃষ্টিকারকগণ—ভালো করে—ঈদ, দীপাবলি, ঈদুল আযহা, হোলি, ক্রিসমাস—সবই দাম্পত্য সাজে পালন করেন । পাশাপাশি, শাহরুখ নিজেরাও তাদের মন্নাত বাড়িতে ধর্মীয় ঐক্যের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন—যেখানে গণেশ-লক্ষ্মীর মূর্তির পাশে কোরআনও রাখা হয়

আরিয়ান কেবল নিজের ধর্ম গ্রহণ করছেন না—এই মূলত একটি সম্মিলিত বিশ্বাসের প্রতিফলন, যেখানে তার বাবা-মায়ের সমঝোতা ও পরিপ্রেক্ষিত তাকে পথ দেখিয়েছে। আয়ুধ, আদর্শ ও দৃঢ়তার সাক্ষ্য—যেন “বাবার ধর্মই বেছে নেওয়া” তাঁর নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নয়, বরং একটি ব্যক্তিগত সুখ ও আত্মপরিচয়ের অংশ। পাশাপাশি, ইসলাম ও হিন্দু উভয় ধর্মের আদর্শ—যেমন বাবার অন্তঃনির্তা নীতি—তাঁর জীবনবোধে মিশ্রভাবে বিদ্যমান

শিক্ষার্থী না হওয়া সত্ত্বেও, আরিয়ান বহু দাওয়া ও প্রার্থনা আদায় করেছেন। গৌরী বলেছেন, “প্রতি রাতে প্রার্থনা করে ঘুমোতে যায়”—প্রথমে মা-এর মতো, তারপর বাবা-এর মতো। এই প্রার্থনাশীল জীবনচর্চা বলছে—তার ধর্ম নির্বাচন তার ব্যক্তিগত সংকল্প, পারিবারিক মতামতের পাশাপাশি, ধর্ম ও মানসিক স্থিতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার এক প্রয়াস।


উপসংহার

আরিয়ান খান তার জীবনে ইসলামের পথ বেছে নিয়েছেন কারণ এটি তার গভীর আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন; এটা একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত যা তার বাবা ও মা উভয়ের ধর্ম-বিশ্বাসের মধ্য থেকে বেড়ে ওঠেছে। শাহরুখ ও গৌরীর সমতাবদ্ধ পারিবারিক মূল্যবোধ আর ধর্মীয় আন্তরিকতা তাকে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সম্মানমূলক জীবন পথের দিকে পরিচালিত করেছে। তার এই সিদ্ধান্ত—যেখানে তিনি নিজেকে “Muslim” হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন—তাতে বোঝা যায়, ব্যক্তিগত ধর্মীয় পথ বেছে নেয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার।

Post a Comment

0 Comments