২০০২ সালের “কিং আঙ্কেল”–এ নবীন অভিনেতা শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজের সময় থেকেই জ্যাকি শ্রফ লক্ষ্য করেছিলেন যে, শাহরুখ মাঝে মধ্যেই মন খারাপ করে একা একা কোন প্রান্তে বসে থাকতেন—অবসাদগ্রস্ত, চিন্তাশীল, কিন্তু যথেষ্ট মনোযোগী ও প্রফেশনাল । মধ্যবিত্ত জীবনের সাধারণ আর স্বতঃস্ফূর্ত ছন্দ থেকে উঠে এসে, অভিজ্ঞতার গ্যালা পেরিয়ে গিয়ে যা জ্যাকি দেখেছেন—সে পৃথিবীর অনেক সাধারণ অনুভূতিকে ছুঁয়ে যায়।
পরে “Devdas”–এর সেটেও একই দৃশ্য দেখতে পান—‘রিসপেক্টফুল’, ‘ফোকাসড’, ‘কারিশম্যাটিক’ শোনা গেলেও, শাহরুখ ছিলেন সবার মাঝে একটি নির্জন চরিত্র—‘আলোকহীন শীর্ষে নির্জনতা’–এর প্রতিচ্ছবি । জ্যাকি মন্তব্য করেন: “পর্বতের চূড়ায় উঠলে থাকে শুধু তোমার ছায়া, অন্য কিছুই না” ।
শিরোনামের কথা—“একা শাহরুখ”—ফলে, এটি কেবল ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ নয়, বরং সুপারস্টারের নিভৃততা ও সেলিব্রিটির একাকীত্ব–এর দিকে জ্যাকি শ্রফের দৃষ্টিপাত। তিনি তুলে ধরছেন কীভাবে গ্ল্যামার, চিত্রনাট্য ও পাপারাৎসি ভিড়ের ভিড়ে একজন মানুষ হতে পারেন মননের বিচ্ছিন্ন এক মুহূর্তের মাঝে—যা শুধু তার “ছায়া”–ই প্রতিষ্ঠিত করে ।
জ্যাকি শ্রফের ভাষায়:
“Bohot acha ladka hai… bohot deep hai… jitna khush rehta hai, utna hi akela hai… pahar ke upar jaake dekho… bottom se aaya hai… aaj raja” ।
এখানেই বোঝা যায়, একটি সেলিব্রিটির মন শ্রদ্ধা ও সমাদরের সঙ্গে গঠিত হলেও, তার ব্যক্তিগত জীবন হয়তো মনে চায় নীরবতার সান্ত্বনা। প্রখ্যাত অভিনেতা থাকলেও, মানুষ হিসেবে তারও патрэ তীর্থ আছে—নৈর্ব্যক্তিক মনস্তাত্ত্বিক একাকীত্ব।
এই মন্তব্যগুলো শুধু গসিপ নয়; এর মাধ্যমেই আমাদের সামনে আসে সেলিব্রিটির – বিশেষ করে শীর্ষের – মানসিক চাপ, নিজস্বতা ও নিঃসঙ্গতা–এর একটি মানবিক উপাদান। এমনকি গ্ল্যামার ও ভক্তের ভিড়েও “নিজের ছায়া” সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়—এটাই ছবিটার গভীরতা।
শেষে, জ্যাকি শ্রফ একান্তভাবে জানান, এই অনুভবটা তৈরি হয় যখন কেউ সত্যিই শিখে যায় নিজের ছায়ার সাথে একান্ত সময় কাটাতে—অস্থিরতা বা ভোগবিলাসের ভিড়ে ‘স্বপ্নের একাকীত্ব’ মোটেও ভিন্ন নয়; বরং তা একজন মানুষ হিসেবে প্রতিটা সেলিব্রিটির ব্যথার অংশ হিসেবেই বিবেচিত হওয়া উচিত।
0 Comments