Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

ইমরান তেমন ভালো ‘কিসার’ নন : তনুশ্রী দত্ত



বলিউডের আলোচিত অভিনেতা ইমরান হাশমি তাঁর ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ‘সিরিয়াল কিসার’ নামে খ্যাতি পেয়ে এসেছেন। দর্শকেরা তাঁর অন-স্ক্রিন চুমুর দৃশ্যগুলো দেখে মুগ্ধ হলেও, সব সহ-অভিনেত্রীর কাছে এ অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। সম্প্রতি অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত একটি সাক্ষাৎকারে ইমরানের সঙ্গে তাঁর অন-স্ক্রিন অন্তরঙ্গ দৃশ্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন এবং অনেকটাই চমকপ্রদ মন্তব্য করেছেন।

তনুশ্রী দত্ত বলেন, ইমরান হাশমির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা তার কাছে বিশেষভাবে আনন্দদায়ক ছিল না। বিশেষ করে চুমুর দৃশ্যগুলো শ্যুট করার সময় তিনি একেবারেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননি। তিনি বলেন, “আমার কাছে ইমরান শুধুই একজন সহ-অভিনেতা। বাস্তবে আমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তিগত রসায়ন ছিল না, তাই অন-স্ক্রিন অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলো খুবই অপ্রাকৃতিক লাগত।” তাঁর ভাষায়, ইমরান হাশমি দর্শকের কাছে ‘কিসার বয়’ হিসেবে পরিচিত হলেও বাস্তবে চুমুর দৃশ্যে তাঁর সঙ্গে কাজ করা বিশেষ আরামদায়ক ছিল না।

তনুশ্রী বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তাঁর প্রথম সিনেমা ‘আশিক বানায়া আপনে’-র কথা, যেখানে ইমরান হাশমির সঙ্গে বেশ কিছু চুম্বনদৃশ্য ছিল। ছবিটি সুপারহিট হলেও সেই অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলো করার সময় তাঁর মধ্যে একটি অস্বস্তি কাজ করত। “এটি একটি পেশাদার কাজ, এবং আমাকে করতে হয়েছিল,” তিনি বলেন, “কিন্তু আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব বা ব্যক্তিগত বোঝাপড়া না থাকায় মুহূর্তগুলো যেন যান্ত্রিক মনে হতো।” পরবর্তী সিনেমা ‘চকোলেট’-এও একই ধরনের একটি দৃশ্য শ্যুট করা হয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত সিনেমায় রাখা হয়নি।

এছাড়াও তনুশ্রী দত্ত বলেন, ইমরান হাশমির সঙ্গে তাঁর অন-স্ক্রিন চুমুর দৃশ্যগুলো আজও তাঁর মনে এক ধরনের অস্বস্তি হিসেবে রয়ে গেছে। তিনি বলেন, “অনেকেই ইমরানকে পর্দায় দেখে তাঁকে নিখুঁত প্রেমিক চরিত্রে কল্পনা করে থাকেন, কিন্তু সেটে কাজ করার অভিজ্ঞতা একেবারে ভিন্ন ছিল।” তিনি আরও বলেন, “সত্যি বলতে, চুমুর দৃশ্যের সঙ্গে যেভাবে ইমরানকে জড়িয়ে রাখা হয়েছে, তা অনেকটাই ইমেজের অংশ। বাস্তবে তিনি এ বিষয়ে সাধারণ একজন অভিনেতা মাত্র, এবং পেশাগত দায়িত্ব হিসেবে যা প্রয়োজন তা-ই করেছেন।”

তনুশ্রীর এ মন্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকেই তাঁর সাহসী স্বীকারোক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন, আবার অনেকে এটিকে ইমরানের জনপ্রিয় ইমেজের বিপরীতে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন। তবে এর মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট — পর্দায় যা দেখা যায় তা অনেক সময় বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন হতে পারে। দর্শকরা ইমরানকে চুমুর দৃশ্যের জন্য যতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাঁর সহ-অভিনেত্রীদের জন্য তা হয়তো অনেকটাই ভিন্ন।

সব মিলিয়ে, ইমরান হাশমি এবং তনুশ্রী দত্তের এই ঘটনার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা সামনে এসেছে — সিনেমা নির্মাণ একটি পেশাদার কাজ এবং সব অভিনেতা-অভিনেত্রীই তা পেশাগতভাবে সম্পন্ন করে থাকেন। কিন্তু ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্য, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং একে অপরের সঙ্গে সঠিক যোগাযোগ থাকলেই যে কোনও অন্তরঙ্গ দৃশ্য সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে, তা আবারও স্পষ্ট করে দিলেন তনুশ্রী দত্ত।

Post a Comment

0 Comments