শেখ হাসিনার পিএ জাহাঙ্গীরের ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা জব্দ

 

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত করছে। এই প্রেক্ষিতে, আদালত তাঁর তিনটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন, যার মোট পরিমাণ ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৯ টাকা। 

দুদকের তদন্তে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলমের নামে ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে। এছাড়া, তাঁর মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ৮টি ব্যাংকের ২৩টি হিসাবে জমা রয়েছে ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার টাকারও বেশি। এই অর্থ বিভিন্ন মাধ্যমে উত্তোলন বা স্থানান্তর করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। তদন্তকালে তিনি তাঁর মালিকানাধীন অস্থাবর সম্পদ গোপনে হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

এই অবস্থায়, বিচার শেষে অপরাধলব্ধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা দুরূহ হয়ে পড়বে বলে আদালত শুনানি শেষে জাহাঙ্গীর আলমের ওই তিনটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। 

এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকে এটি সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে মনে করছেন। তবে, আদালতের আদেশ ও দুদকের তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান থাকায় বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত মন্তব্য করা কঠিন।

জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থপাচার ও সরকারি পদমর্যাদার অপব্যবহার। তদন্তের স্বার্থে তাঁর বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এটি দেশের আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হতে পারে।

এছাড়া, শেখ হাসিনা পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দের খবরও এসেছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা মোট ১৫৬টি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। এই বিশাল অঙ্কের অর্থ জব্দের বিষয়টি ইতোমধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে। 

এই সব ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকে এটি সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে মনে করছেন। তবে, আদালতের আদেশ ও দুদকের তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান থাকায় বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত মন্তব্য করা কঠিন।

এটি দেশের আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হতে পারে।