Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

হাসপাতালে প্রবাসীর মরদেহ ফেলে পালালো স্ত্রী

 


মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক চালিয়ে রাখা কাণ্ড ঘটেছে, যেখানে প্রবাসী ইসলামি দেশে বেড়ে ওঠা হালিম খান (৫৫)কে হত্যার পর তার মরদেহ হাসপাতালে ফেলে স্ত্রী রেশমা বেগম পালিয়ে যান। নিহত হালিম জেলার রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের নগর গোয়ালদি গ্রামের মৃত হাজী বালা উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার খবর পেয়ে রাজৈর থানার ওসি মাসুদ খান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে

পুলিশ ও পারিবারের দাবি অনুযায়ী, প্রায় চার বছর আগে রেশমা বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং সে ইহিবপুরের গার্ড সোমেদ চৌকিদারের মেয়ে। হালিমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল রেশমা বেগমের সঙ্গে। ইতালি প্রবাস থেকে ফিরে প্রথমে স্বীকৃতি ও সম্পদের মালিকানা নিয়ে বনিবনা হয়, তবে পরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। টাকা ও সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থাপনায় না আসায় সম্পর্কে ফাটল ধরতে থাকে। প্রবাস থেকে আসার সময় হালিম রেশমাকে মোটরসাইকেল কিনে দান করেছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত শ্যালক সবুজ চৌকিদারের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়। নীরব সংগ্রহের মাঝে হারানো সম্পদ এবং পাওনা টাকা চাওয়ার সময় উত্তেজনা তৈরি হয়।

রোববার (২৩ জুন) রাতের কোনো এক সময়ে শ্বশুরবাড়িতে কাউন্সিলের ছলনা করে তাকে ডেকে নিয়ে যান রেশমা ও তার পরিবারের সদস্যরা। সেই আলোচনা বা উপস্থিতির সময় আচমকা হামলা চালিয়ে হালিমকে পিটিয়ে মারার পর তাঁর গলায় ফাঁস দেওয়া হয়। এরপর রাতের অন্ধকারে মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করেন আর স্ত্রীর পলাত্কতা ধরা পড়ে । এ ঘটনার পরপরই স্থানীয় হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক-সহকারী ও পুলিশ সদস্যরা চেনেননি, কারণ মৃতকে পাশেই স্ত্রীকে না পেয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি যে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি অন্য ঘটনা।

পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ মোতাবেক, মরদেহ পরিদর্শন করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, যাতে মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটিত হয় । রেশমা বেগম এখনও পলাতক অবস্থায় রয়েছেন এবং পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী হারানো সম্পদের কারণেই হয়তো তিনি পরিস্থিতি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনায় সাধারণভাবে প্রবাসীদের পরিবারে সময়মতো সম্পদের স্বচ্ছতা ও আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি এই ধরনের ঘটনা যখন সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তখন প্রকৃত তথ্য বাতলে দেওয়ার গুরুত্ব বহুগুণে বেড়ে যায়। মাদক, সম্পত্তি লোভ বা পারিবারিক কলহের মতো বিষয়গুলো যখন রূপ নেয় এমন হত্যাকাণ্ডে, সমাজ ও প্রশাসনিক জনপ্রিয় প্রতিক্রিয়া গণ্ডগোল রোধ, ন্যায়ের প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন মানসিক চাপ, সময়ের অভাব অথবা বিকলঅভিপ্রায় থেকে ডকুমেন্টেশনের গুরুত্ব অনুধাবনের আহ্বান জানাচ্ছেন।

এই ঘটনায় মাদারীপুর-জেলা ও রাজৈর থানার কর্মকর্তা-স্টাফরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন তদন্তে। আদালতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দাখিলের পরই মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ, অপরাধী ও আইনগত দায়–দায়িত্ব নির্ধারণ করা যাবে। এরমধ্যে, রেশমা বেগমের পলাত্কতা রোধ করতে পুলিশের অভিযান ত্বরান্বিত হচ্ছে। বিচার কার্যবাহী হলে প্রবাসী সম্প্রদায়ে শান্তি ফেরাতে পারে, কারণ অন্যথায় এটি কলহ ও সম্পত্তি লোভ থেকে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে কিভাবে একজন মানুষের জীবন কেড়ে নেয়, তা কিছু অংশে দেখাল।

মহিলার দায়িত্ব ভুল চিকিৎসা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল টিমের কাজ ঠেকানো নয়— বরং, এটি পরামর্শমূলক ঘটনা, যেন হাসপাতালে মৃত শরীর রেখে পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা আর না ঘটে। একজন স্বাধিকার ও মানবরক্ষার আলোকে, সামাজিক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচিত প্রয়োজনীয় সতর্কতা রাখা— যাতে দুর্ঘটনা, অপরাধ ও চিকিৎসা–আইন সংশোধনের মধ্যে কোনো ফাঁকা না থাকে।

Post a Comment

0 Comments