রাজধানীর খিলগাঁও থানার হত্যা মামলার আসামি আদালত থেকে পালিয়েছে
ঢাকার খিলগাঁও থানার এক হত্যা মামলার আসামি শরিফুল ইসলাম আদালত থেকে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রাঙ্গণে। পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, শরিফুলকে হাজতখানা থেকে আদালতে হাজির করার সময় তিনি কৌশলে হাতকড়া খুলে পালানোর চেষ্টা করেন এবং সফল হন।
পালানোর ঘটনা কীভাবে ঘটল?
শরিফুল ইসলামকে হাজতখানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তার হাতে হাতকড়া পড়ানো ছিল। কিন্তু আসামি ধাতব কোনো বস্তু ব্যবহার করে হাতকড়াটি লুজ করে কৌশলে খুলে ফেলে। পরে তিনি পুলিশের এক কনস্টেবলের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যান।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ এসআই রিপন জানান,
"আসামিকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি পুলিশ সদস্য শহিদুলকে আঘাত করে পালিয়ে যান।"
ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মাইন উদ্দিন বলেন,
"আসামির হাতে হাতকড়া ছিল, কিন্তু তিনি ধাতব কিছু দিয়ে হাতকড়া খুলে ফেলেন এবং পরে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যান।"
আসামি শরিফুল ইসলাম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ
শরিফুল ইসলাম খিলগাঁও থানার হত্যার মামলার প্রধান আসামি। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতে বিচার চলছে। বর্তমানে সে হাজতখানায় বন্দি ছিল এবং নিয়মিত আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছিল।
পালানোর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিক্রিয়া
আসামির এই পালানোর ঘটনায় পুলিশ ও আদালত কর্মকর্তারা কঠোরভাবে তদন্ত শুরু করেছেন। তারা বলছেন যে, এ ধরনের ঘটনা গুরুতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।
ডিএমপির মাইন উদ্দিন আরও বলেন,
"এই ঘটনার পর আমরা তৎপর হয়ে তাকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য মাঠ পর্যায়ে অভিযান চলছে।"
নিরাপত্তার চরম ত্রুটি ও দায়ী কর্তৃপক্ষের ভূমিকা
আদালত প্রাঙ্গণে এমন ঘটনা হওয়া মানেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ না থাকা বুঝায়। হাতকড়া লাগানো থাকা সত্ত্বেও আসামি পালানোর এই ঘটনা বিচার ব্যবস্থায় সংকট তৈরি করেছে। হাজতখানা ও আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে।
সমাজে এর প্রভাব
এই ধরনের ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা কমিয়ে দেয়। একই সঙ্গে অপরাধীদের জন্য একটি খোলাখুলি বার্তা পৌঁছে দেয় যে, তারা সহজেই পালাতে পারে। এই পরিস্থিতি সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর।
ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ও প্রত্যাশা
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পালানো আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে হবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে আদালত ও হাজতখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করতে হবে।
উপসংহার
খিলগাঁও থানার হত্যা মামলার আসামি শরিফুল ইসলামের আদালত থেকে পালানোর ঘটনা দেশের বিচার ও আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার এক বড় চ্যালেঞ্জ। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি স্পষ্ট হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এই ধরনের ঘটনা পুনরায় ঘটার আশঙ্কা কমাতে হবে যাতে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত না হয় এবং সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় থাকে।
0 Comments