নোবেলকে ‘জাতীয় বেয়াদব’ বললেন গায়ক রবি চৌধুরী

নোবেলকে ‘জাতীয় বেয়াদব’ বলে অভিহিত করে গায়ক রবি চৌধুরী সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এই মন্তব্যটি তিনি নিজের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি গানের মাধ্যমে করেছেন, যা শিরোনাম “বেয়াদব”। গানের শুরুতেই তিনি উল্লেখ করেছেন, "আমার এই গান আধুনিক জাতীয় বেয়াদবদের জন্য, যারা শিল্পী নামের কলঙ্ক।" তার বক্তব্য অনুযায়ী, নতুন প্রজন্মের অনেকেই সিনিয়র শিল্পীদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করছেন এবং তাদের জন্য এই গান একটি জোরালো প্রতিবাদ। রবি চৌধুরী তার নিজের রচিত এই গানটি ২০২০ সালে ইউটিউবে প্রকাশ করেন, যার সঙ্গীত পরিচালনা করেন অপু রায়হান।

নোবেলকে ‘জাতীয় বেয়াদব’ আখ্যা দেওয়ার পেছনে মূলত তার বিরুদ্ধে ওঠা নানা বিতর্ক এবং আইনগত সমস্যা রয়েছে। মাইনুল আহসান নোবেলকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা তার প্রতি সামাজিক ও শিল্পী মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এর আগে তিনি সিনিয়র শিল্পীদের প্রতি কটাক্ষপূর্ণ ও অসম্মানজনক মন্তব্যও করেন, যা সংগীত ও বিনোদন জগতের মাঝে বিতর্ক সৃষ্টি করে। এইসব কারণেই রবি চৌধুরী তার গানের মাধ্যমে নোবেলকে ‘জাতীয় বেয়াদব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

এই মন্তব্য ও গানের প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই রবি চৌধুরীর বক্তব্যের পক্ষে সুর দান করেন এবং বলেন, শিল্পী সমাজে সম্মান বজায় রাখা জরুরি। অন্যদিকে কিছু সমর্থক নোবেলের পক্ষ নিয়ে তার বিরুদ্ধে এই সমালোচনা অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন। এই বিতর্ক প্রমাণ করে যে, একটি শিল্পীর ব্যক্তিগত আচরণ ও সামাজিক দায়িত্ব কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা তাদের ক্যারিয়ারের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে।

এই ঘটনার মাধ্যমে শিল্পী সমাজের অভ্যন্তরে থাকা সমস্যা, নতুন প্রজন্মের মনোভাব এবং সিনিয়রদের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব ইত্যাদি বিষয়গুলো সামনে এসেছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, শিল্পী সমাজের মধ্যে এই ধরনের বেয়াদবি ও বিতর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পীদের সম্মান ও সংগঠনের মান কমিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই শিল্পীদের উচিত নিজেদের আচরণ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ আরও জোরদার করা।

সার্বিকভাবে বলা যায়, রবি চৌধুরীর ‘জাতীয় বেয়াদব’ মন্তব্য একটি সতর্কবাণী হিসেবে গণ্য হতে পারে, যা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য একটি শিক্ষা। তারা যেন তাদের সম্মান বজায় রেখে সমাজ ও শিল্পক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। আর এই বিতর্ক আমাদের সমাজে শিল্পীদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের জটিলতা এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিফলন।