২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সিগারেটের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি করেছে।
📈 সিগারেটের দাম বৃদ্ধির কারণ
গত জানুয়ারিতে সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবারের বাজেটে সিগারেট পেপারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৬০% থেকে বাড়িয়ে ১০০% করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এছাড়া, সিগারেট পেপার আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক হার ১৫০% থেকে বাড়িয়ে ৩০০% করার প্রস্তাবও রয়েছে।
🚬 তামাকের ব্যবহার ও স্বাস্থ্যঝুঁকি
বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ধূমপান বা তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের কারণে দেশের অর্থনীতিতে ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা চিকিৎসা ব্যয় ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের সম্মিলিত ফল।
💰 বাজেটের প্রভাব
নতুন বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকলেও, সিগারেটের চারটি স্তরের দাম ও শুল্ক গত জানুয়ারিতে বাড়ানো হয়েছিল। তবে, সিগারেট পেপারের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
✅ উপসংহার
সিগারেটের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। তবে, সিগারেট পেপারের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এটি ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে।
0 Comments