ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত ৬১০, আহত প্রায় ৫ হাজার

 
গত ১৩ জুন থেকে মাত্র ১২ দিনে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৬১০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ৫,০০০-এরও বেশি রক্ষা দেয়, যাদের মধ্যে অন্তত ৪,৭৪৬ জন আহত । নিহতদের মধ্যে ১৩ শিশু, যাদের সর্বনিম্ন বয়স মাত্র ২ মাস, এবং ৪৯ নারী, যাদের মধ্যে কয়েকজন গর্ভবতী, রয়েছেন । এছাড়া, অন্তত ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত এবং ৯টি অ্যাম্বুলেন্স ও ৭টি হাসপাতাল গ্রাস করতে হয়েছে হামলায়।

ছিল একটি তীব্র মুহূর্ত—গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে একক বৃহত্তম ক্ষয়ক্ষতি ছিল যেখানে ১০৭ জন নিহত হয়েছেন । স্টেট মিডিয়ার প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “গত ২৪ ঘণ্টা ইরানে সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল।” এছাড়া রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাদের দাবি করেছে—হামলায় ৬০৬ থেকে ৬১০ জন নিহত হয়েছে, আহতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রুয়েটার্স ও ওয়াশিংটনের পোস্ট ইঙ্গিত করেছে, এই সংঘর্ষ একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে কিছুটা থেমে আছে, তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র রেজিস্ট্রিল ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই যুদ্ধে ইরাকার পক্ষেও আহত ও হতাহতের তথ্য প্রকাশ হয়েছে তবে সেগুলো বড়মাপের নয়। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বল্পস্থায়ী, এবং তেল-বাজার, আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারক ও ইউএন আগাম সতর্কতার আশঙ্কা করছেন।

---

 সারসংক্ষেপ

১২ দিনের সংঘর্ষে ইরানে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৬০০ ছাড়িয়ে যায়, প্রচুর অসহায় নির্দোষ মানুষের প্রাণ হারিয়েছে—এর মধ্যে শিশু, নারী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন। আহত দুই হাজারেরও বেশি, রোগ-সেবা প্রতিষ্ঠান ও জরুরি সেবাগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও হামলার নির্দিষ্ট সময় গোলমাল বা যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তবে শান্তি বেশ ভঙ্গুর। বিশ্ববাসী এখন নিরপেক্ষ জরুরি বৈশ্বিক সাহায্য ও কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের অপেক্ষায়।