মোবাইল ফোনের টর্চের আলোয় ৮ কিলোমিটার চললো তিতাস কমিউটার ট্রেন

 

মোবাইল ফোনের টর্চের আলোয় ৮ কিলোমিটার পাড়ি দিলো তিতাস কমিউটার ট্রেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ইঞ্জিনের হেডলাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তালশহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার পথ চালকের মোবাইল ফোনের টর্চের আলোয় পাড়ি দিয়েছে একটি ট্রেন। শনিবার (২১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আখাউড়াগামী তিতাস কমিউটার ট্রেন রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে ১৫ মিনিট দেরিতে আশুগঞ্জ স্টেশন ছাড়ে। তালশহর স্টেশন অতিক্রম করার পরপরই ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ইঞ্জিনের হেডলাইটও নষ্ট হয়ে যায়, ফলে সম্পূর্ণ অন্ধকারে পড়ে ট্রেনটি।

এ অবস্থায় চালক ও ক্রুরা তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন থামিয়ে না দিয়ে চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ইঞ্জিন চালক নিজের মোবাইল ফোনের টর্চলাইট চালু করে এবং সঙ্গে সঙ্গে হর্ন বাজিয়ে সতর্ক সংকেত দেন। এভাবে এক ঘণ্টায় প্রায় ৮ কিলোমিটার ধীরে ধীরে পাড়ি দিয়ে ট্রেনটি নিরাপদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে পৌঁছে।

ট্রেনের ধীরগতি ও অন্ধকারের কারণে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। একজন যাত্রী জানান, “আমরা ট্রেনের ভেতরে একদম অন্ধকারে ছিলাম। বাইরে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না, শুধু চালকের ফোনের আলো আর হর্ন শোনা যাচ্ছিল।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, “তালশহর অতিক্রম করার পরই ইঞ্জিনে সমস্যা হয়। পরে আরেকটি লোকোমোটিভ এনে ট্রেনটিকে গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।” এ ধরনের ঘটনা এড়াতে ট্রেনগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং জরুরি আলো ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।