সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সূচনা

 বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার (৮ মে ২০২৫) ভোররাতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট TG340-এ করে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করেছেন। তিনি রাত ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভোর ৩টা ৫ মিনিটে ফ্লাইটে উঠেন ।

পটভূমি: রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট

২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্ভাব্য কারণ: চিকিৎসা না রাজনৈতিক?

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, আবদুল হামিদ চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ড গেছেন । তবে তার দেশত্যাগের সময় এবং পটভূমি বিবেচনায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি শুধুমাত্র চিকিৎসাজনিত নয়, বরং রাজনৈতিক নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হতে পারে।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও বিশ্লেষণ

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। তার দেশত্যাগকে কেউ কেউ রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ মনে করছেন এটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো এই ঘটনাকে সরকারের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতিফলন হিসেবে ব্যাখ্যা করছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

উপসংহার

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। এই ঘটনাটি দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আগামী দিনে এই বিষয়ে আরও স্পষ্টতা আসবে বলে আশা করা যায়।