১২ ইঞ্চির চুল কেটে দান করলেন সোনম কাপুর

ভারতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী এবং ফ্যাশন আইকন সোনম কাপুর সম্প্রতি ১২ ইঞ্চি চুল কেটে তা দান করেছেন চ্যারিটি সংস্থার উদ্দেশ্যে। তিনি ইনস্টাগ্রামে ভিডিও শেয়ার করে এই চুল কাটার মুহূর্ত দেখিয়েছেন, যেখানে দেখা যায় তার দীর্ঘ, স্বাস্থ্যবান চুল থেকে একটি মোটা শাখা নিয়ে তা কাটা হচ্ছে । ভিডিওতে সোনম নিজেই বলেন, “Hi everyone, so I decided to cut 12 inches of my hair. It doesn’t seem that much on this video, but it’s a foot of hair,” এবং জিনগত সৌন্দর্যের জন্য তিনি তার বাবা অনিল কাপুরকে ধন্যবাদ জানান ।

এই দুঃসাহসিক এবং মানবিক পদক্ষেপ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। অনেকেই ‘পার্সোনাল চেঞ্জ’ ও ‘ফিলানথ্রোপি’–এর জায়গায় এক মহান উদাহরণ হিসেবে এ ঘটনাকে দেখছেন, যেখানে ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক সামাজিক কাজে অবদান রাখা হয়েছে । তবে কিছু নেটিজেন এই চুল কাটাকে “বড় বলিদান” হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যেমন এক ডান মন্তব্যে হয়তো এই চুল আসলে ১২ ইঞ্চির নয়—কাউকে কনফিউশনও তৈরি হয়েছে ।

সোনম তার পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন:

“Decided to cut off 12 inches off my hair and give it away! @peteburkill thanks @anilskapoor for the genes.” 

তিনি এ মুহূর্তটিকে “হেয়ার মেকওভার” হিসেবে বিবেচনা করছেন, একই সঙ্গে দান করার মাধ্যমে অন্যদের জন্য কিছু ফিরিয়ে দিতে পেরে “very happy and refreshed for the summer”–ও বলেছেন । সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এই চুল কাটার মুহূর্ত বেশ ভাইরাল যা অনেকেরই হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

এছাড়াও, সোনম-র ক্যারিয়ারের নানা মাইলফলক—যেমন “Prem Ratan Dhan Paayo” ও “Abhi Toh Party Shuru Hui Hai” গানের ইউটিউব ভিউয়ের কথা উল্লেখ করে, তার ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনের দুটি দিক একত্রিত হয়েছে: একদিকে সৃজনশীল ধারার উদযাপন, অন্যদিকে তার মানবিক ও সামাজিক লাভজনক উদ্যোগ ।

 সারসংক্ষেপ:

১২ ইঞ্চি চুল দান করা—সামাজিক সচেতনতার উদাহরণ

তার পিতা অনিল কাপুরের জিনগত সমর্থনের কথা উল্লেখ

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ

নেটিজেনদের প্রশংসা ও সমালোচনা—দুইই মিশ্র প্রতিক্রিয়া

সামগ্রিকভাবে তার উদ্যোগকে ‘উদ্দেশ্যপূর্ণ স্টাইল’ ও ‘ফিলানথ্রপি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে

সোনম কাপুরের এই উদ্যোগ আমাদের প্রেরণা দেয়—ব্যক্তিগত পরিবর্তন ও শারীরিক পরিচ্ছেদ শুধুই সৌন্দর্য বা স্টাইল সংস্কারের বিষয় নয়; তা সামাজিক দায়দায়িত্ব ও মানবীয় মূল্যবোধের প্রতিফলন হতে পারে।