নিষিদ্ধ হলো পাকিস্তানি নায়িকার সিনেমা

পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারতের সামাজিক মাধ্যমে পাকিস্তানি শিল্পীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি ব্যাপকভাবে উঠতে থাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বলিউডের নির্মাতারা পাকিস্তানি শিল্পীদের সঙ্গে কাজ বন্ধ করার কঠোর সিদ্ধান্ত নেন। ফলে অনেক প্রজেক্ট থেকে পাকিস্তানি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নাম সরিয়ে ফেলা হয়, এমনকি তাদের ছবি ও পোস্টার থেকেও বাদ দেওয়া হয়। এর মধ্যেই পাকিস্তানের প্রখ্যাত নায়িকা হানিয়া আমিরের নাম উঠে আসে আলোচনায়। হানিয়া আমির, যিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং অনবদ্য সৌন্দর্যের কারণে বর্তমানে পাকিস্তানের জনপ্রিয় তারকাদের একজন, তারও সিনেমা নিষিদ্ধ করার দাবি উঠে সামাজিক মাধ্যমে।

হানিয়া আমিরের অভিনয়শৈলী এবং ব্যক্তিত্ব তাকে এই প্রজন্মের অন্যতম প্রিয় নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তবে রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা তারকা ও সিনেমা শিল্পের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ ধরনের পদক্ষেপ শুধু শিল্পীদের ক্যারিয়ারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না, বরং দুই দেশের সাংস্কৃতিক ও বিনোদন খাতের মধ্যকার সম্পর্ককেও শীতল করে দেয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনীতির কারণে শিল্পীদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা চিরস্থায়ী সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি করছে, যা দীর্ঘমেয়াদে দুই দেশের মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। যদিও নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ইস্যু বিবেচনায় এই ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবুও অনেকেই বিশ্বাস করেন, সংস্কৃতি ও কলা সবসময় সেতুবন্ধন গড়ে তোলার মাধ্যম হওয়া উচিত, বিভাজনের নয়।

এই প্রেক্ষাপটে হানিয়া আমিরের মতো প্রতিভাবান শিল্পীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা একদিকে যেমন তাদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলে, অন্যদিকে সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতেও বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। তাই অনেকেই আশা করছেন, ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা কমে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে এবং পুনরায় শিল্পীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি হবে।